পৃথিবীর সেরা ১০ জন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার সম্পর্কে জেনে নিন !!

বন্ধুরা সবাই সালাম নিবেন , আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে এমন কিছু তথ্য দেব যেগুল হয়তো এর আগে আপনি কোথাও পড়েননি বা দেখেননি । যাই হক আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ কপি করেছি একটি কলকাতা বাংলা নিউজ সাইট ২৪ ঘণ্টা থেকে । নিচে থেকে দেখুন বিশ্বের তাবড় তাবড় ১০ জন সেরার সেরা  ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার সম্পর্কে ।







নিচে এমন কিছু হ্যাকার নিয়ে আলোচনা করা হল যারা একসময় ইন্টারনেট দুনিয়াতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে । বড় ব্যাংক থেকে শুরু করে নাসা সব কিছুতেই এরা হালা দিয়েছে । তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ।




১. গ্যারি ম্যাককিনন:



১২ বছর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা অফিসের কম্পিউটারে একটি মেসেজ দেখায়..."“Your security system is crap,” I am Solo. I will continue to disrupt at the highest levels.” খোদ প্রতিরক্ষা দফতরে নিরাপত্তার অশনি সংকেত। অনেক তদন্ত হওয়ার পর জানা যায়, এই কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছে স্কটিশ সিস্টেম ডেভালপার গ্যারি ম্যাককিনন।
গ্যারি নিজের কাজের মধ্যে সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন।  নিজেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে রাখতেন বাইরের জগত থেকে। ডাক্তারি ভাষায় তিনি এ্যাসপারজার রোগে ভুগছেন। কিন্তু তাঁর সফটওয়ার সম্বন্ধে গভীরতা ও জ্ঞান দেখে বিস্ময় বনে গিয়েছেন তাবড় তাবড় হ্যাকাররা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি, নৌবাহিনী, নাসার মতো বড় বড় সরকারী দফতরে ৯৭ টি কম্পিউটার হ্যাক করেন। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষতি হয়  ৭লক্ষ ডলার। তিনি UFO নিয়েও গবেষণা করেছিলেন।



২. জনাথন জেমস:



মাত্র ১৬ বছর বয়সে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার জনাথন জেমস সাইবারক্রাইম অপরাধে জেল খাটেন। নাসা ও প্রতিরক্ষার মতো সংস্থার সিস্টেম হ্যাক করেছিলেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে। তিনি নাকি প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যে সফটওয়ার চুরি করেছিলেন। ২০০৮ জেমস আত্মহত্যা করেন  এবং সুইসাইট নোটে লিখে গিয়েছিলেন " বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার বিশ্বাস নেই...যাইহোক আজকের আমার কাজ ও চিঠি জণগণের কাছে
এই বার্তা পৌঁছাবে...আমি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণের বাইরে আর এখান থেকে বেরিয়ে আসার এটাই একমাত্র পথ ।






৩. জর্জ হটজ:




জর্জ হটজ হলেন প্রথম ব্যক্তি আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ব্রেক করেছিলেন। ২০০৭ মাত্র ১৭ বছর বয়সে আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ব্রেক করে চমকে দিয়েছিলেন বিশ্বকে। এছাডা়ও তিনি ডেভালপ করেন আইফোন অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট করার জন্য জেলব্রেক টুল ও বুট্রম। সোনি প্লে স্টেশন থ্রি ব্রেক করার পর সোনি কোম্পানির সঙ্গে তুমুল আইনি লড়াই চলে। প্লে স্টেশন নেটওয়ার্ক হ্যাক করে ৭৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করে জর্জ হটজের হ্যাকার গ্রুপ।



৪. অ্যান্ড্রিয়ান লামো:






ছদ্মনাম "দ্য হোমলেস হ্যাকার"। ২০০৩-এ অ্যাড্রিয়ান লামো খবরের শিরোনামে উঠে আসে মাইক্রোসফট, ইয়াহু, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, এমসিআই ওয়ার্ল্ডকমের হাইপ্রোফাইল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ভাঙ্গার কারণে। টাইমস অভিযোগ দায়ের করলে লামোর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
কয়েক বছর নজরদারি থাকার পর ২০১০ ফের লামো খবরের শিরোনামে আসে। ২০০৭, ১২ জুলাই বাগদাদ এয়ারস্ট্রাইকের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পিছনে ব্রাডলে ম্যানিং ছিলেন এই খবর মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে প্রকাশ করেন। এই নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় আমেরিকা। এখন তিনি একজন থ্রেট অ্যানালাইসিস্ট হিসাবে কাজ করছেন নন-প্রফিট সংস্থায়।



৫. ডেভিড স্মিথ:



ম্যালিসা ম্যাক্রো ভাইরাস তৈরি করে বেশ নাম করেছিলেন। প্রোগ্রামার ডেভিড স্মিথ নিজেকে Kwyjibo নামে পরিচয় দিতেন। তাঁর তৈরি ভাইরাসের বিশেষত্ব হল আউটলুকের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে  মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মূল্যবাণ ফাইলগুলোকে  নষ্ট করা।
মাইক্রোসফট, ইনটেল, লুসেন্ট কোম্পানিরা ইমেল গেটওয়েতে ম্যালিসা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয় তাঁরা। দেখা গেছে উত্তর আমেরিকায় বড় বড় কোম্পানির কম্পিউটারে ম্যালিসা ভাইরাস আক্রমণে ৮০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় তাদের ব্যবসায়




৬. মাইকেল কেল্স:


মাইকেল কেল্স হলেন ইন্টারনেট দুনিয়ার 'মাফিয়া বয়' , পেটে বিদ্যা না থাকলেও মগজে বুদ্ধি ছিল কল্পনাতীত। কিউবেকের এই মাফিয়া বয় মাত্র হাই স্কুল পাস করে ইয়াহু, আমাজন, ডেল, ইবে. সিএনএনের মতো বিশ্বের তাবড় তাবড় কোম্পানিকে ঘোল খাইয়ে রেখেছিলেন। ২০০০ সালে মাইকেল কেল্স তৈরি করেন denial-of-service যা বড় বড় কমার্সিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করার ক্ষমতা রাখে। তিনি এক ঘন্টার জন্য সেই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুকে হ্যাক করেন। এছাড়া যেকোনও ওয়েবসাইটেক নিজের খুশি মতো হ্যাক করে তাঁর গ্রুপ TNT কতৃত্ব রাখত। ২০০১তে মনট্রিয়েল ইয়থ কোর্ট ৮ মাসের জন্য মাইকেলকে নজরদারি রাখার নির্দেশ দেন ও ইন্টারনেট ব্যবহার না করার নিষেধাজ্ঞা জারি করে।




৭. রবার্ট তপ্পন মরিস:



Morris Worm নাম নিশ্চই শুনেছেন! ১৯৮৮, ২ নভেম্বর রবর্টা মরিস তৈরি করেন কম্পিউটার worm। এটিই প্রথম ভাইরাস, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে বিভিন্ন মূল্যবাণ তথ্যকে নষ্ট করত।   Massachusetts Institute of Technology নামে এক বেসরকারি রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করেন মরিস ভাইরাস। ইন্টারনেটের মধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে  Unix sendmail, finger,  rsh/rexec অর্থাত দুর্বল পাসওয়ার্ড নষ্ট করে দেয়।
১৯৮৯ তে United States Code Title 18 লঙ্ঘণ করার কারণে কম্পিউটার ফ্রড ও অ্যাবিউস এ্যাক্টে দোষী অভিযুক্ত হন। তিনি প্রথম ব্যক্তি এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হন।




৮. ভ্লাদিমির লেভিন:


ভ্লাদিমির লেভিন হলেন ১৯৪০-র জেমস বন্ড। রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ভ্লাদিমির ছিলেন একজন মেধাবী গণিতজ্ঞ। সেন্ট পিটারস বার্গ স্টেট ইন্সটিটিউট থেকে বায়োকেমেস্ট্র নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৪ ভ্লাদিমির ১০ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করেন নিজের অ্যাকাউন্টে ডায়েল আপ ওয়ার ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যেমে। ফিলন্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ইজরায়েলের মতো বিভিন্ন দেশের সিটি ব্যঙ্কের কয়েক হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি।






৯. অ্যালর্বাট গঞ্জালেজ:



২০০৫ থেকে ২০০৭ অ্যালবার্ট ও তাঁর গ্রুপ প্রায় ১৭০ মিলিয়ন কার্ড ও এটিএম নম্বর বিক্রি করে খবরের শিরোনামে আসেন। বলা যেতে পারে, এই প্রথম এটিএম দুর্নীতি নিয়ে এতবড় হাঙ্গামা ঘটে। যা পুলিস, প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও কীভাবে এটিএম নেটওয়ার্ককে বিকল করেছিল তার কিনারা করে উঠতে পারেনি। গনজালেজ একরকম SQL ইনজেকশন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন, ইন্টারনেট কর্পোরেট নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটার ডেটা তাঁর হাতের মুঠোয় ছিল।
যখন পুলিস অ্যালবার্টকে গ্রেফতার করে, তাঁর ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছিল ১.৬ মিলিয়ন ডলার ক্যাশ। তারমধ্যে তিন ফুট লম্বা ড্রামে ১.১ মিলিয়ন ডলার অর্থ বাড়ির পিছনে মাটির তলায় পুঁতে রেখে ছিলেন। অ্যালর্বাট গনজালেজকে কুড়ি বছর কারাদণ্ড শাস্তি ঘোষণা করা হয়।




১০. কেভিন লি পোলসেন:



আশির দশকে কুখ্যাত হ্যাকার ছিলেন মার্কিন সাংবাদিক কেভিন লি পোলসেন। তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন টেলিফোন লাইন হ্যাক করার জন্য। সমস্ত টেলিফোন লাইন হ্যাক করে লস এঞ্জেলসের রেডিও স্টেশন KIIS-FM-এ দাবি করেন তিনি হলেন ১০২ লাকি কলার এবং Porsche 944 S2 গাড়ির পুরস্কার তারই প্রাপ্য।

ফরেন ব্যুরো অফ ইনভেস্টগেশন (FBI) তদন্তে নেমে দেখে, পোলসন হলেন 'কম্পিউটার অপরাধে হেনিবল লেকটার' চরিত্র। পোলসন গা ঢাকা দিলেও ১৯৯১ ধরা পরে যান তিনি। সাইবার ক্রাইম, কম্পিউটার সংক্রান্ত অপরাধ, স্মাগলিং বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হন  পোলসেন। চার বছর জেল খাটার পর জীবন নতুন দিকে মোড় নেয় পোলসেনের। তিনি এখন বেশ পরিচিত সাংবাদিক ওয়ার নিউজ কোম্পানির।








পোস্টটি সম্পূর্ণ কপি করা হয়েছে এখান থেকে । যাই হোক পোস্টটি ভাল লাগল তাই এই ব্লগে পোস্ট দিলাম আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে এবং আমার কপি করা সার্থক হবে ।


তাহলে আজকের মত এই পর্যন্ত পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন । আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে । ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন । আসসালামু আলাইকুম ।

এসো বন্ধু

আমি পারভেজ ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত আছি গত বেশ কিছু বছর, বাংলা ব্লগিং এর সঙ্গে সঙ্গে আমি অন্য ভাষাতেও ব্লগিং করি। সেই সব কারনে ব্লগে নিয়তম থাকা হয়না, আপনাদের ভালোবাসা যদি আগের মত আবার ফিরে পাই তাহলে অবশ্যই নিয়মত হবার চেস্ট করবো। facebook telegram youtube twitter

2 মন্তব্যসমূহ

আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লিখার অনুপেরনা যোগাই তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখকের মনে আঘাত করে ! কারণ একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই !!

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال